কলকাতা: মধ্যমগ্রামের (Madhyamgram) ৩৮ বছরের ডেলিভারি বয় সুরজিৎ বসাকের জীবনে নেমে এসেছিল চরম বিপর্যয়। পরপর চার বার স্ট্রোক হওয়ার পর তিনি হারিয়ে ফেলেছিলেন কথা বলার ক্ষমতা, দৃষ্টিশক্তি এবং হাঁটা, তিনটি মৌলিক ক্ষমতাই। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসায় ধরা পড়ে হৃদ্যন্ত্রের জটিল রোগ, যা হঠাৎ অবনতির কারণ।
এই অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয় কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের কার্ডিওথোরাসিক এন্ড ভাসকিউলিয়ার সার্জারি (CTVS) এবং কার্ডিওলজি বিভাগে। সেখানকার চিকিৎসকদের দ্রুত সিদ্ধান্ত ও যৌথ উদ্যোগে শুরু হয় বিশেষ চিকিৎসা।
সিটিভিএস সার্জন ড. দেবাশীষ কুমার সাঁই এবং ড. দ্বীপায়ন ঘোষ জানান, রোগীর অবস্থা অত্যন্ত জটিল ছিল। সময়মতো চিকিৎসা শুরু হওয়ায় বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব হয়েছে। পরিবার সূত্রে জানা যায়, চিকিৎসার পর ধীরে ধীরে উন্নতি করতে শুরু করেন সুরজিৎ। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তিনি নিজে হাঁটতে পারছেন, আংশিকভাবে ফিরে এসেছে কথা বলার ক্ষমতা, এবং স্বাভাবিক হয়েছে দৃষ্টিশক্তি।
রোগীর স্ত্রী মিঠু বসাক দাস বলেন, “ডাক্তারদের জন্যই আজ আমার স্বামী জীবিত। এত দ্রুত উন্নতি হবে ভাবতেই পারিনি।” নিজেও আবেগপ্রবণ সুরজিৎ। জানান, আবার নতুন করে জীবন সাজানোর স্বপ্ন দেখছেন তিনি। চিকিৎসকদের তৎপরতা ও দক্ষতাই ফিরিয়ে দিল তাঁর জীবনে নতুন আলো।
দেখুন আরও খবর:







